Tuesday, June 6, 2023

দ্বীপালীর সাথে অভিসার ও একটা রোমান্টিক কবিতা

দ্বীপালীর সাথে অভিসার 

১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপালীর সাথে অভিসার নিয়ে একটা রোমান্টিক কবিতা লিখেছিলাম। কলেজের এবং স্থানীয় এক লিটিল ম্যাগাজিনে তা প্রকাশও পেয়েছিল। জীবনের ঔ পর্বটার রোমাঞ্চই অন্যরকম। নানা কারনে কবিতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গ, সবাইকে হারিয়ে ফেলেছি। আজকে হঠাৎ খেয়াল করলাম Google এর AI platform ‘Bard’-এ ঢুকতে পেরেছি। মানে গুগোল বার্ড বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কী করা যায়, ভাবনাটা মাথায় আসতেই দ্বীপালীর কথা মনে পড়লো। AI তে আমি একদম নবিশ, abcd জ্ঞানও নেই। তবুও সাহস করে গুগোল বার্ড ও চ্যাট জিপিটিকে গল্পটা শোনালাম। দু’জনেই লিখে দিল আমার যেমন - তেমন কবিতার দূর্দান্ত ইংরেজি সংস্করণ। বাংলা করতেও বলেছিলাম, কিন্তু বাংলার ছিরি দেখে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছি। AI কে বোঝানোরও হয়ত কিছু নিয়ম-কানুন আছে, যা আমার অজানা।

Saturday, May 6, 2023

ভয়েস অফ ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ২০২৩, কি এবং কিভাবে?

ভয়েস অফ ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ২০২৩ ফিরে এসেছে এবং এই বছরের প্রতিযোগিতাটি ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সুপার-অগ্রাধিকার প্রাপ্ত পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি সম্পর্কে একটি রচনা লেখার প্রতিযোগিতা। স্থানগুলো হলো- বোরোবুদুর, লেক টোবা, লিকুপাং, মান্দালিকা এবং লাবুয়ান বাজো। আপনি যদি আকর্ষণীয় পুরষ্কার জিততে আগ্রহী হন তবে এই চমৎকার ও আর্কষণীয় গন্তব্যগুলি সম্পর্কে কীভাবে একটি নিখুঁত প্রবন্ধ লিখবেন সে সম্পর্কে কিছু টিপস এবং এই পাঁচটি পর্যটন এলাকার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে তুলে ধরা হলো।

ভয়েস অফ ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ২০২৩

ভয়েস অফ ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কুইজ ২০২৩ এর রচনা লেখার আগে

Friday, April 28, 2023

অনলাইন রেডিও জ্যোতি রাজশাহী ও আমরা

অনলাইন রেডিও জ্যোতি রাজশাহী ও আমরা, লেখাটি ফাদার বাবলু কোড়াইয়া DX-NET জানুয়ারি-জুন ২০২৩ সংখ্যার জন্য লিখেছেন। রাজশাহী ও বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার শ্রোতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের বিশ্ব বেতার দিবস পালন করে রেডিও জ্যোতি। সেখানেই এই লেখাটির স্ক্রিপ্ট তৈরী হয়।  এখনও যারা DX-NET এর পিডিএফ কপি পাননি, তারা এখান থেকে জেনে নিতে পারেন রেডিও জ্যোতির বিস্তারিত।

অনলাইন রেডিও জ্যোতি রাজশাহী ও আমরা

বেতারের কত স্মৃতি কত কথা

বেতারের কত স্মৃতি কত কথা
DX-NETএর ২০২৩ সালের প্রথম সংখ্যায় “বেতারের কত স্মৃতি কত কথা” এর মাধ্যমে শখের দুনিয়ার স্মৃতিচারণ করেছেন, আতা ইলাহী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সংক্ষেপে এ.ই.এম আব্দুল্লাহ। তিনি বর্তমানে একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। রাজশাহী সরকারী কলেজে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। রাজশাহীর প্রথম প্রজন্মের রেতার প্রেমিক হিসেবে তাঁকে দেখা হয়। আর্ন্তজাতিক বেতার অঙ্গনে রাজশাহীকে তুলে ধরায় তাঁর অবদান অনেক। 

বেতারের কত স্মৃতি কত কথা 

১৯৭১ সন, তখন আমি কলেজের তরুণ ছাত্র। হঠাৎ দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ। কোন কাজ কর্ম নেই। বাড়ির বাইরেও যাওয়া যাবেনা। তাই বাড়িতে বসেই সঠিক খবর জানার জন্যে BBC, VOA, AIR শুনতে হয়। আমার তখন থেকেই বেতার শোনা শুরু। আমাদের ছিল GEC Valve Set Radio যা গরম হয়ে কাজ শুরু করতো ১৫/২০ মিনিট পরে। ফলে কোন অনুষ্ঠান শুনতে হলেপ্রায় ১৫/২০ মিনিট পূর্বেই পায়তারা শুরু করতে হতো। যাহোক, পরবর্তীতে বেতার শোনা নেশার মতো হয়ে গেল।

রেডিও তেহরান- কিছু কথা, কিছু স্মৃতি

ইন্টারন্যশনাল ডি এক্স রেডিও লিসেনার্স ক্লাব, বারুইপাড়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত-এর এস এম নাজিমুদ্দিন  DX-NET এর জানুয়ারি-জুন ২০২৩ সংখ্যার জন্য লেখায় রেডিও তেহরানের স্মৃতিচারণ করেছেন, রেডিও তেহরান- কিছু কথা, কিছু স্মৃতি লেখাতে। DX-NET’এর ডিজিটাল কপি অর্থাৎ PDF সংখ্যা সবার সঙ্গে সহভাগীতা করা হয়েছে। এখানে লেখাটি DX-NET যারা পাননি তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হলো। 

রেডিও তেহরান- কিছু কথা, কিছু স্মৃতি

রেডিও তেহরান- কিছু কথা, কিছু স্মৃতি

প্রকৃতির মাঝে এক অপরূপ সৌন্দর্যের প্রাচুর্য উপলব্ধি করার সময় এখন। চারিদিকে নানা রঙের ফুলের সমারোহ বাংলার প্রকৃতিকে এক অপূর্ব মোহময়ী করে রেখেছে।

এই মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ আস্বাদন করতে করতে অন্য এক জগতে হারিয়ে যাই; হারিয়ে যাই ছেলেবেলার সেই শৈশবে। যখন মনের আনন্দে পার্থিব দায়িত্বের বাইরে ছুটে বেড়াতাম পল্লী বাংলার পাড়া থেকে সে পাড়া; বাগান থেকে বাগানে।এ সকল ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে মনপ্রাণজুড়ে ছিল রেডিও। কিন্তু হায়! নিজের কোনো রেডিও ছিল না। বাবার রেডিওটি লুকিয়ে চুরিয়ে মাঝে মাঝে শোনার সুযোগ ঘটতো বৈকি! রাত্রি বেলায় শোবার সময় বাবা রেডিওটি অন করে মাথার কাছে রেখে খবর বা অন্যান্য অনুষ্ঠান শুনতো, এর সাথে আমিও শুনতে শুনতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়তাম।

Friday, March 31, 2023

ধান ভানতে শিবের গীত : দাঁড়িওয়ালা ছেলেটি

১৯৯০ সালের কথা, আমি তখন টোকিওতে রেডিও জাপানের বাংলা সম্প্রচার বিভাগে কাজ করি। আমাদের সিনিয়র সহকর্মী ইসকান্দার আহমদ চৌধুরী (বেশ আগে জান্নাতবাসী হয়েছেন) এক বিকেলে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মাহবুবুল হক ও তার মিসেসকে NHK ভবনে বেড়াতে নিয়ে এলেন (NHK সদর দপ্তর আসলেও টোকিওর টুরিস্ট স্পটগুলির একটি, সুতরাং প্রতিদিন অনেকেই সেটি দেখতে যান)। 
চৌধুরী সাহেবও চট্টগ্রামের মানুষ, এদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের সখ্য। সৈয়দ সাহেব হিমায়িত চিংড়িসহ আরও সব পণ্যের রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত। ব্যবসায় উপলক্ষেই টোকিও গেছেন। আমার সাথে পরিচয় হওয়ার পর কথা প্রসঙ্গে জানালেন ফেরার পথে তাঁরা ব্যাংকক - রেঙ্গুন হয়ে ঢাকা যাবেন। রেঙ্গুনে তাঁর এক বন্ধু থাকেন, তাঁর জন্যে হুমায়ূন আহমেদের তিনটি টিভি নাটকের ভিডিও ক্যাসেট নিয়ে এসেছেন, সেগুলি পৌঁছাতে হবে। কী নাটক জানতে চাইলে বললেন - এই সব দিনরাত্রি, অয়োময় আর বহুব্রীহি। প্রথম নাটকটির এতই নাম শুনেছি যে আগ্রহ চেপে রাখতে পারলাম না। ওঁরা আগামীকালও টোকিওতে আছেন জেনে বললাম, আমি যদি এখন আপনাদের সঙ্গে হোটেলে যাই, ক্যাসেটগুলো দেবেন? কাল সন্ধ্যায় পৌঁছে দেবো। তিনি বললেন – ‘মোট ছ' টা ক্যাসেট, আপনি কি দেখে শেষ করতে পারবেন?’ বললাম, যতটুকু পারি দেখবো তবে আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে পেয়ে যাবেন - এ ব্যাপারে গ্যারান্টি। 

আমি মাহবুবুল হক দম্পতির সঙ্গে হোটেলে এলাম। পাঁচ তারকা বলেই মনে হলো। আমাকে লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে বলে তিনি ক্যাসেটগুলো এনে দিলেন। পরদিন ঘটনাক্রমে রোববার ছিল। আমি রাত জেগে এবং পরের দিন সারাটা সময় জুড়ে নাটক তিনটি দেখে ফেললাম (লম্বা দৃশ্য অবশ্য মাঝেমাঝে FF করেছি!) এবং যথাসময়ে সেগুলি ফেরত দিয়ে এলাম। পরে এক বাঙালি যুবকের কাছে এই গল্প করায় সে হেসে বললো - এই ক্যাসেট তো এখানেই কিনতে পাওয়া যায়। আমি সেই ভিডিওর দোকান থেকে 'এই সব দিনরাত্রি' নাটকের ক্যাসেট কিনে আনলাম। 
রেডিও জাপানে আমাদের এক সহকর্মী (টোকিওতে বসবাসরত ভারতীয়) রুমাদি, তথা মিসেস অজন্তা গুপ্তের সঙ্গে এক অবসরে বিটিভির নাটকের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন - রেণু বৌদির কাছে (মুন্সি আজাদের স্ত্রী, আমাদের পরিচিত) ' এই সব দিনরাত্রি'র প্রশংসা শুনেছি। আমি তাকে নাটকটি দেখতে দিলাম। দু' দিন পর তিনি ক্যাসেট দুটি ফেরত দিয়ে বললেন - এর আগে বাংলাদেশের টিভি নাটক দেখা হয় নি, দাঁড়িওয়ালা ছেলেটি (আসাদুজ্জামান নূর!) খুব ভালো অভিনয় করেছে। আমি হেসে তাঁর কথায় সম্মতি জানালাম। 
(জনাব নূর অনেক দিন থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিত নাম এবং একটি বড় বিজ্ঞাপনী সংস্থার অধিকর্তা বলে জানতাম, তিনি এখন তো সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী) ।

জনাব হাসান মীর, একজন অবসরপ্রাপ্ত বেতার ব্যক্তিত্ব।

Readers' Choice