Showing posts with label ধান ভানতে শীবের গীত. Show all posts
Showing posts with label ধান ভানতে শীবের গীত. Show all posts

Friday, March 31, 2023

ধান ভানতে শিবের গীত : দাঁড়িওয়ালা ছেলেটি

১৯৯০ সালের কথা, আমি তখন টোকিওতে রেডিও জাপানের বাংলা সম্প্রচার বিভাগে কাজ করি। আমাদের সিনিয়র সহকর্মী ইসকান্দার আহমদ চৌধুরী (বেশ আগে জান্নাতবাসী হয়েছেন) এক বিকেলে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মাহবুবুল হক ও তার মিসেসকে NHK ভবনে বেড়াতে নিয়ে এলেন (NHK সদর দপ্তর আসলেও টোকিওর টুরিস্ট স্পটগুলির একটি, সুতরাং প্রতিদিন অনেকেই সেটি দেখতে যান)। 
চৌধুরী সাহেবও চট্টগ্রামের মানুষ, এদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের সখ্য। সৈয়দ সাহেব হিমায়িত চিংড়িসহ আরও সব পণ্যের রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত। ব্যবসায় উপলক্ষেই টোকিও গেছেন। আমার সাথে পরিচয় হওয়ার পর কথা প্রসঙ্গে জানালেন ফেরার পথে তাঁরা ব্যাংকক - রেঙ্গুন হয়ে ঢাকা যাবেন। রেঙ্গুনে তাঁর এক বন্ধু থাকেন, তাঁর জন্যে হুমায়ূন আহমেদের তিনটি টিভি নাটকের ভিডিও ক্যাসেট নিয়ে এসেছেন, সেগুলি পৌঁছাতে হবে। কী নাটক জানতে চাইলে বললেন - এই সব দিনরাত্রি, অয়োময় আর বহুব্রীহি। প্রথম নাটকটির এতই নাম শুনেছি যে আগ্রহ চেপে রাখতে পারলাম না। ওঁরা আগামীকালও টোকিওতে আছেন জেনে বললাম, আমি যদি এখন আপনাদের সঙ্গে হোটেলে যাই, ক্যাসেটগুলো দেবেন? কাল সন্ধ্যায় পৌঁছে দেবো। তিনি বললেন – ‘মোট ছ' টা ক্যাসেট, আপনি কি দেখে শেষ করতে পারবেন?’ বললাম, যতটুকু পারি দেখবো তবে আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে পেয়ে যাবেন - এ ব্যাপারে গ্যারান্টি। 

আমি মাহবুবুল হক দম্পতির সঙ্গে হোটেলে এলাম। পাঁচ তারকা বলেই মনে হলো। আমাকে লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে বলে তিনি ক্যাসেটগুলো এনে দিলেন। পরদিন ঘটনাক্রমে রোববার ছিল। আমি রাত জেগে এবং পরের দিন সারাটা সময় জুড়ে নাটক তিনটি দেখে ফেললাম (লম্বা দৃশ্য অবশ্য মাঝেমাঝে FF করেছি!) এবং যথাসময়ে সেগুলি ফেরত দিয়ে এলাম। পরে এক বাঙালি যুবকের কাছে এই গল্প করায় সে হেসে বললো - এই ক্যাসেট তো এখানেই কিনতে পাওয়া যায়। আমি সেই ভিডিওর দোকান থেকে 'এই সব দিনরাত্রি' নাটকের ক্যাসেট কিনে আনলাম। 
রেডিও জাপানে আমাদের এক সহকর্মী (টোকিওতে বসবাসরত ভারতীয়) রুমাদি, তথা মিসেস অজন্তা গুপ্তের সঙ্গে এক অবসরে বিটিভির নাটকের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন - রেণু বৌদির কাছে (মুন্সি আজাদের স্ত্রী, আমাদের পরিচিত) ' এই সব দিনরাত্রি'র প্রশংসা শুনেছি। আমি তাকে নাটকটি দেখতে দিলাম। দু' দিন পর তিনি ক্যাসেট দুটি ফেরত দিয়ে বললেন - এর আগে বাংলাদেশের টিভি নাটক দেখা হয় নি, দাঁড়িওয়ালা ছেলেটি (আসাদুজ্জামান নূর!) খুব ভালো অভিনয় করেছে। আমি হেসে তাঁর কথায় সম্মতি জানালাম। 
(জনাব নূর অনেক দিন থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিত নাম এবং একটি বড় বিজ্ঞাপনী সংস্থার অধিকর্তা বলে জানতাম, তিনি এখন তো সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী) ।

জনাব হাসান মীর, একজন অবসরপ্রাপ্ত বেতার ব্যক্তিত্ব।

Monday, May 9, 2022

ধান ভানতে শীবের গীত - ২৩: ইনাহারা- সান-এর সাথে ডিনার

ইনাহারা- সান-এর সাথে ডিনার
হাসান মীর

 জনাব হাসান মীর- কে নিয়ে বলার মতো ভাষা বা দক্ষতা কোনটাই আমার নেই। বাংলাদেশ বেতারের বার্তা বিভাগ ও তারও আগে রেডিও পাকিস্তানের একজন দক্ষ বেতার সেনানী তিনি। মাঝে রেডিও জাপানের বাংলা বিভাগে কাজ করায়, আমার মতো বেতার প্রেমিকের সৌভাগ্য হয় এমন মহান একজন মানুষের সাথে। ইনাহারা- সান-এর সাথে ডিনার তার একটা পুরোনো লেখা যেটি আজ রাত ১২টার পর তাঁর ফেসবুক-এ পোষ্ট করেছেন। 
আমি পরম সৌভাগ্যবান, এই মানুষটিকে , আমার শখের রাজ্যে পথ প্রদশর্ক হিসেবে পাওয়ার। 


ধান ভানতে শীবের গীত - ২৩: ইনাহারা- সান-এর সাথে ডিনার

Sunday, May 8, 2022

ধান ভানতে শীবের গীত - ২২: এগেইন ফের

 ধান ভানতে শীবের গীত - ২২: এগেইন ফের
 ধান ভানতে শীবের গীত - ২২: এগেইন ফের জনাব হাসান মীরের বেতার জীবনের স্মৃতিচারণ।

ধান ভানতে শীবের গীত - ২২: এগেইন ফের

এককালে বাংলাদেশ বেতারের বার্তা বিভাগে আমাদের এক সহকর্মী ছিলেন আলতাফ হোসেন, বেশ  'বছর আগে জান্নাতবাসী হয়েছেন। আলতাফ সাহেবের রসবোধ ছিল, অনেক কঠিন কথাকেও রসিয়ে বলতে পারতেন। নিউজ ডেস্কে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর মেজাজ চড়তো না। তখন কম্পিউটার, ল্যাপটপের যুগ আসেনি।

Friday, April 3, 2020

ধান ভানতে শীবের গীত । ১২

NHK World রেডিও জাপানের বাংলা সম্প্রচারের ৫৯ বছর।

সূচনা- লেখ : 


রেডিও জাপান - NHK World ' এর বাংলা সার্ভিসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ২৬শে মার্চ আমার ফেসবুকের পাতায় পোস্টটি প্রকাশিত হয়েছিল। এই লেখায় বাংলা সার্ভিসের প্রধান উদ্যোক্তা এবং রেডিও জাপান থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠানের প্রথম ঘোষক শেখ আহমদ জালাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকলে ভালো হতো বলে একজন পাঠক অনুযোগ করেছিলেন। সত্যি বলতে কি, আমার নিজের সামর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে সেই কাজটি করা যায়নি। তবে জাপান - প্রবাসী সাংবাদিক Kazi Ensanul Hoque'এর সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেলো, শেখ জালাল সাবেক পাকিস্তান আমলে উচ্চশিক্ষার জন্য টোকিও যান।

Thursday, April 2, 2020

স্মৃতি- বিস্মৃতির জীবন : বেতার পর্ব ৫

হাসান মীরের স্মৃতি- বিস্মৃতির জীবন : বেতার পর্ব ৫

১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে আমি বাংলাদেশ বেতার, রাজশাহী কেন্দ্রের বার্তা বিভাগে সাব-এডিটর ছিলাম। এই পর্বের আগের এক লেখায় উল্লেখ করেছি, তখন আমাদের কোনো সংবাদদাতা বা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন না, রাজশাহীতে কোনো দৈনিক পত্রিকা ছিল না, ঢাকার পত্রিকা আসতো বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায়। সর্বোপরি কেবল সরকারি বা একান্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র, যেমন সরকার দলীয় এম. পি, ছাড়া খবর নেয়াও যেতো না। ফলে সামান্য পাঁচ মিনিটের একটি বুলেটিনের জন্যে প্রায় রোজই জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হতো।

Monday, September 23, 2019

রাজশাহী বেতার কেন্দ্র


স্মৃতি- বিস্মৃতি: রাজশাহী বেতার কেন্দ্র

রাজশাহী বেতার কেন্দ্র
Picture from Bangladesh Betar Website

রাজশাহীতে একটি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছিল ১৯৬৪ সালের শেষ দিকে শহরের কাজিহাটা এলাকায় স্থাপিত বেতার ভবন বা সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে।

Wednesday, February 6, 2019

ধান ভানতে শীবের গীত | ১১

ধান ভানতে শীবের গীতঃ বেতার প্রসঙ্গ ১১

হাসান মীর
স্বাধীনতার পর আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তি জীবনেও নানা পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তনের ফলে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর উন্নতির পাশাপাশি ব্যক্তিও লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল রেডিও পাকিস্তান। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেতার, '৭৫-এর পটপরিবর্তনের পর রেডিও বাংলাদেশ এবং এখন আবারো বাংলাদেশ বেতার।

বেতারে এক সময় পদবিন্যাস ছিল বার্তা বিভাগে সহ- বার্তা সম্পাদক, সহকারী বার্তা সম্পাদক এবং বার্তা সম্পাদক। কী কারণে জানিনা পদগুলির নাম পরিবর্তিত হয়ে সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক, উপ- বার্তা নিয়ন্ত্রক এবং বার্তা নিয়ন্ত্রক হয়ে গেল (একটা কারণ হতে পারে সরকারী বেতারে তো আর সব খবর প্রচারিত হয়না, বিশেষ করে বিরোধী দলের অনেক খবরই নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাই বোধ হয় সম্পাদক থেকে নিয়ন্ত্রক বানানো)

Readers' Choice