- এই টোকন ভাই!!
১৫.০৯.২০১৫ সন্ধ্যা ৭টা : মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের সামনে ডাক শুনে চমকে
উঠলাম। এখানে আমাকে সবাই ইকবাল বলে ডাকে, টোকন ভাই বলে কে !ফিরে
তাকাতেই দেখি ইকবাল (দিদারুল)।
-আরে কেমন আছো? এখানে ...
-অফিস থেকে ফিরছি। আপনার
অফিস ও এখানে নাহ!
এরপর কিছুক্ষন কুশলাদী বিনিময় আর তারপর শুরু বেতার জগতের নানান বিষয়
নিয়ে বহুমাত্রিক আলাপচারিতা।
হাটতে হাটতে শ্যামলী। রেস্টোরেন্টে বসে শুনলাম ইকবালের বেতার রাজ্য
নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা। কি করছে, কি করতে চায়, কিভাবে করলে ভাল হবে.. ইত্যাদি নানান বিষয়ে তার ভাবনা গুলো আমাকে প্রায়
২০ বছর পেছনে নিয়ে গেল।
শখের রাজা ডি-এক্সিং - এর জন্য আমরাও কতকিই না করেছি। সাইকেল
চালিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় আমরা চলে যেতাম, ভদ্রা না হয়
নওহাটা রোডে, Radio France International এর David
Page উপস্থাপিত Club 9516 এর কুইজ শুনতে
আর জানতে এই সপ্তাহে আমাদের কে কয়টা প্রাইজ পেলাম। এই আমরা হলাম, আমি, আজিজুল আলাম আল-আমিন, একেএম নূরুজ্জামান সেনটু, আর সব সময়ের
এসএমজে হাবিব ওরফে জাকির ভাই।কিছুদিন পরে আমাদের সঙ্গি হয় ফেরদৌস করিম তাপস।
শিক্ষা বোর্ডের ইসমাইল ভাই আমাদের পরিবারে পরে যোগদেন।
শুধু কি রবিবার! না সপ্তাহের প্রতিদিন নিয়ম করে বিকেলে হতো শহরে
নানা প্রান্তে ডি-এক্স ভ্রমণ। সান্ধ্য চা'য়ের আড্ডায়
বেতার রাজ্যের নানা তথের ঝড় তুলে ফিরতাম বাসায়। রাত জুড়ে চলতো শর্ট ওয়েভ ডায়ালে
নিরবিচ্ছিন্ন পরিভ্রমণ।
সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে শর্ট ওয়েভ, জগৎ থেকে সরে গেছে সুনাম।ইসমাইল ভাই ও নেই বল্লেই চলে। আমিও আছি না
থাকার দলে। তাপস অনেক আগেই গুডবাই ডি-এক্সিঙ বলেছে। একখনো টিকে আছে সেনটু। তবে
অবয়ব পাল্টে বাংলাদেশ বেতারে বাড়িয়েছে আনাগোনা। আর জাকির ঠিক আগের মতই।
চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে বললাম, এলো
মেলে হয়ে যাওয়া সকলকে আবার এক জায়গায় আনা যায়না? ইকবাল
সম্মতি দেয়। আফশোষ করে বর্তমান শ্রোতাদের নানা রকম নেতিবাচকতার জন্য।
সেই সাথে জানায় ডি-এক্স প্রদর্শণী ও সকলকে নিয়ে তার সামনের পরিকল্পনা।
আমি তাকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
মাজার রেডে ইকবালকে বিদায় দেওয়ার পর ভাবি, জীবনের প্রায় সবটুকু ডি-এক্সিং এর জন্য শেষ করেছি।
এখন এই ক্রান্তি লগ্নে আমি কী করতে পারি!
ভাবনার শেষ হতে না হতেই আমিন বাজার পৌচ্ছে যাই। ইতি ঘটে কল্পনার।
আশিক
আমিনবাজার
১৫.০৯.১৫