RVA এর মধূর বাধনে আবদ্ধ আমরা। ডাক পেলেই ছুটে যাই এপার বাংলা ও ওপার বাংলার যে কোন প্রান্তে। আজকের এ লেখা এমনই একটা ঘটনাকে স্মরণ করা।
ঈদের
ছুটিতে হঠাৎ করে মনে হলো আমার ছবির এ্যলবামটা খুঁজে বের করি। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
ঘন্টা খানেক খোঁজাখুজির পর মেজাজটা যখন খারাপ হওয়ার দশা ঠিক তখনি পেলাম
এ্যলবামগুলো। পেয়েতো মাথায় হাত। ছবি গুলো সব নষ্ট হতে বসেছে। আটটা এ্যলবামের প্রায়
সবগুলো ছবির একই অবস্থা। ছবি গুলোর একটা গতি করার দরকার। স্ক্যানারটা খুঁজে বের
করে ঘন্টা চারেক সময় গেল ডিজিটাল করার পেছনে।
ঠিক এমন
সময় চোখে পড়ল ২০০৩ সালের ৪/ ৫ টা ছবির উপর। স্মৃতিচারী মন আটকে রাখে সাধ্যকার!
মূহুর্তেই হারিয়ে গেলাম দিনাজপুরে। দিনাজপুরে
আমার যাতায়াত সেই ১৯৮২ থেকে। এর আগেও খুব সম্বভ একটা কি দুটো শ্রোতা সম্মেলনে এই
কারিতাশ কমপ্লেক্স এ এসেছি। তবে এবারেরটা একটু অন্য রকম। এবার আমার সাথে দ্বিতীয়
বারের মত দিনাজপুর এসেছেন আমাদের এসএমজে হাবীব ভাই। এর মাত্র ককে দিন আগে জীবনবাণী
বেতারের শ্রোতা সম্মেলনে আমার সাথে এসেছিলেন তিনি। আর এবারের অন্যতম নতুনত্ব হলো,
এবার অনেক নবীন যোগদিচ্ছে এই আয়োজনে।
আমরা ২৭
তারিখে (অবশ্যই ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পৌচ্ছেছি। আমাদের মত অগ্রবর্তী দলে আরো অনেকই
আছেন। বিকেলে পরিকল্পনা করা হলো ঘুরতে যাবো। একটা ছোট দলে আমরা ৭/৮ জন বেড়িয়ে
পড়লাম। রামসাগর দেখে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। সু্ইহারির চেহেল গাজীর মাজার ঘুরে আবার
সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশ। রাতের খাওয়া শেষে সবাই মিলে আড্ডা।
আমাদের
সান্ধ্য ভ্রমণে এক পিতার সঙ্গে আসা নতুন শ্রোতা শীলাও ছিল। হ্যা এটা কামরুন নাহার
শীলার প্রথম শ্রোতা সম্মেলন। আর প্রথম দিনাজপুর সম্মেলন আমাদের সালাউদ্দিন
ডলারেরও। আমার তোলা কয়েকটা ছবির একটা সন্ধ্যার আঁধারে তোলা একটি দূর্লভ ছবি পেলাম।
যে ছবিই দায়ী আজকের এই স্মৃতিচারণের। ছবিতে হাবীব ভাইয়ের পাশে শীলা আর পেছনে
আমাদের ডলার। বলা বাহুল্য এ ছবি যখন তোলা তখন তারা দুজন কেবল নিজেদের নামটুকু জানে
মাত্র।
এর পরের
ই্তিহাস সবার জানা। ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০০৩ এর সেই পরিচয় ক্রমে পরিনয় থেকে পরিবারে
রুপ নেয়। যা আজ একটা গর্বিত পিতামাতায় পরিনত হয়েছে। কিন্তু কেউ কি ভেবেছিল সেই
সন্ধ্যা ডলার-শীলার জন্য হয়ে উঠবে চীর বন্ধনের প্রথম পদক্ষেপ!
রেডিও
ভেরিতাসের সেদিনের সেই মিলন মেলা সত্যিই ছিল অনন্য।
[ ডলার ও শীলার প্রতি সম্মান জানিয়ে লেখা এ পোস্টটির সকল ছবি কপিরাই্টেড ]
আমার আরও লেখা পাবেন আশিকের খেরোখাতায়