২০০৫ সালের ০১ এপ্রিল, মনের ভেতর একটা চাপা কষ্ট থেকেই লিখে ফেলা, উৎসর্গ তোমাতেই প্রিয়তমা শিরোনমের এই ন’কবিতা। ছন্দমাত্রার জ্ঞান না থাকা বা কবিতার নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বালখিল্য আচরণের মতো যা মনে আসে তাই লিখে ফেলা। তবে হৃদয়ে যে সুর-মূচ্ছর্ণার জন্ম হয়েছিল, তা দিয়ে সাদা কাগজকে কালো কালিতে কলঙ্কিত করার ধৃষ্টতা ক্ষমার যোগ্য হবে নিশ্চয়ই। এটা এখনও প্রসঙ্গিক বিধায় ডায়রির পাতা থেকে ওয়েবের রাজ্যে নিয়ে এলাম।
ভালো কথা, এখানে কেউ যেন আবার বাস্তব-অবাস্তব-পরবাস্তব কোন কিছুর সাথেই এই ন’কবিতার মিল খুঁজতে যাবেননা। এটা শুধুই কল্পনা মাত্র।
উৎসর্গ তোমাতেই প্রিয়তমা
কী দেব তোমায়, কী দিতে পারিএকটাই হৃদয় ছিল আমার, তাওমহা-প্লাবনের মহাস্রোতেতোমার কাছেই চলে গেছে।
একটা ক্ষত বিক্ষত আমিত্বেরঅস্তিত্ব্যে এখনও আছে বটেকিন্তু, তা তোমায় দিই কিভাবে?
তোমার প্রেম, তোমার ভালোবাসাতোমার মাঝেই যে তোমাকে আমি পেয়েছিতার পরিবর্তে, এ জীর্ণ, শীর্ণপঙ্গুপ্রায় আমিত্ব. . .
তবে? কী দিতে পারি?কী দেওয়া উচিৎ, কী-ই বা দেব তোমায়!
তাই তো-
আমার প্রেম, আমার ভালোবাসাঅনস্তিত্বের মাঝেই আমার যে অস্তিত্ব্যউৎসর্গ তোমাতেই প্রিয়তমা ।।
আশিক ইকবাল টোকন । রাজশাহী
০১ এপ্রিল ২০০৫
আরও লেখা: আশিকের খেরোপাতা | ন’কবিতা